ইঞ্জিনের গাড়ির জ্বালানি হবে বাতাস। পূর্ণ জ্বালানিতে ১২৮ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে ওই গাড়ি। সর্বাধিক গতিবেগ হবে প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।

প্রথম তিনটি বাক্য দেখে হয়তো অবাক হচ্ছেন। চিন্তা করছেন, কোনো উন্মাদ প্রলাপ বকছে। তবে এটি কোনো পাগলের প্রলাপ নয়। প্রকৃতপক্ষে গাড়ি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে এমন এক গাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রিয় গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাটা মোটর্স। বর্তমানে গাড়ির ডিজাইন এবং প্রস্তুত প্রক্রিয়া নিয়ে লুক্সেমবার্গের মোটর ডেভেলাপমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করছে টাটা মোটর্স।
টাটা মোটর্সের দাবি, গাড়ি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ এটি। বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে চলবে এই গাড়ি। ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমে যাবে।
কোম্পানিটি জানায়, বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বায়ুকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে এক ধরনের ট্রাম চলত। এ ক্ষেত্রে বায়ুর চাপ ব্যবহার করা হত। তবে প্রস্তাবিত গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্কে ১৭৫ লিটার বায়ু ভরা সম্ভব। পূর্ণ জ্বালানিতে এই গাড়ি ১২৮ কিমি পর্যন্ত যেতে পারবে। গাড়ির সর্বাধিক গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক টানা ৮০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ওই গাড়ির একটি ক্যাপসুল ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে কোম্পানি। আমেরিকার বাজারেই প্রথমে উন্মুক্ত করা হবে গাড়িটি।প্রস্তাবিত ডিজাইন অনুযায়ী গাড়ির পিছনের সিট অন্যান্য কারের মতো নয়। সামনের সিটে থাকবেন শুধু ড্রাইভার। আর পিছনের সিটে দুজন বসতে পারবেন। তবে পিছনের সিটটি ড্রাইভারের সিটের সঙ্গে লাগানো হওয়ায় পিছনের যাত্রীদের মুখ থাকবে উল্টো দিকে। গাড়িতে থাকবে ছোট আকারের তিনটি চাকা।
No comments:
Post a Comment