মোজাম্মেল হককে ২১ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেরপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ মোজাম্মেল হকের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ এই আওয়ামী লীগ নেতার হাতে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং চিকিৎসার জন্য নগদ এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী পরে আবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এ সময় মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে মাহমুদুল হক বাবু ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফেঅর ডটকমে ‘শেরপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল অসুস্থ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী পরে আবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এ সময় মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে মাহমুদুল হক বাবু ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফেঅর ডটকমে ‘শেরপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল অসুস্থ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মাহমুদুল হক বাবু সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান পেয়ে আমরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি যেন তার সেবার মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি ঘরকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে পারেন আল্লাহ্র কাছে সেই কামনা করছি।”
একই সঙ্গে বাবার অসুস্থতার খবরটি সময়মতো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং অনুদান গ্রহণের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
“জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সরকারি অনুদান পেয়ে আমি আনন্দিত।”
তার খবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোজাম্মেল হক ২১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। গত দেড় বছর ধরে তিনি অসুস্থ। অর্থ সঙ্কটে দিন কাটছিল তার। তিনি লিভারের জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এক সময়ের তুখোড় বক্তা এখন স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারেন না। হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। দুধ ও সামান্য জাওভাতসহ তরল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছেন বেশ কয়েক বছর থেকে।
শেরপুর শহরের বাগরাকশা মহল্লায় মোজাম্মেল হকের জন্ম।
প্রায় ৮০ বছর বয়স্ক এই নেতা শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা নিহত হওয়ার পর প্রতিবাদ সভা করার অপরাধে ১৭ মাস ময়মনসিংহ জেলা কারাগারের অবরুদ্ধ ছিলেন মোজাম্মেল।
একই সঙ্গে বাবার অসুস্থতার খবরটি সময়মতো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং অনুদান গ্রহণের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
“জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সরকারি অনুদান পেয়ে আমি আনন্দিত।”
তার খবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোজাম্মেল হক ২১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। গত দেড় বছর ধরে তিনি অসুস্থ। অর্থ সঙ্কটে দিন কাটছিল তার। তিনি লিভারের জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এক সময়ের তুখোড় বক্তা এখন স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারেন না। হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। দুধ ও সামান্য জাওভাতসহ তরল জাতীয় খাবার খেতে পারেন। রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছেন বেশ কয়েক বছর থেকে।
শেরপুর শহরের বাগরাকশা মহল্লায় মোজাম্মেল হকের জন্ম।
প্রায় ৮০ বছর বয়স্ক এই নেতা শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা নিহত হওয়ার পর প্রতিবাদ সভা করার অপরাধে ১৭ মাস ময়মনসিংহ জেলা কারাগারের অবরুদ্ধ ছিলেন মোজাম্মেল।
No comments:
Post a Comment