নিয়মিত সংবাদের আপডেট পেতে ও ভিডিও নিউজ দেখতে নিচে লাল বাটন টি ক্লিক করুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
নিজের ফ্ল্যাটে অশালীন অবস্থায় নিজে মুখোশ পরে মেয়েদের পাশে বসিয়ে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত ফুয়াদ। এছাড়া এসব ভিডিও নিজের ৮টি ওয়েবসাইটে আপলোড করা সহ বিদেশি অনেক পর্নোগ্রাফি সাইটে উচ্চমূল্যে বিক্রি করত। বিদেশি এমন লক্ষাধিক পর্নোসাইট থাকলেও বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিক আকারে নিজেকে এই পেশায় নিয়োজিত করে বলে জানায় র্যাব।
নিজের ফ্ল্যাটে অশালীন অবস্থায় নিজে মুখোশ পরে মেয়েদের পাশে বসিয়ে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত ফুয়াদ। এছাড়া এসব ভিডিও নিজের ৮টি ওয়েবসাইটে আপলোড করা সহ বিদেশি অনেক পর্নোগ্রাফি সাইটে উচ্চমূল্যে বিক্রি করত। বিদেশি এমন লক্ষাধিক পর্নোসাইট থাকলেও বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিক আকারে নিজেকে এই পেশায় নিয়োজিত করে বলে জানায় র্যাব।
বুধবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো: সারওয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন: নিজের ফ্ল্যাটে অশালীন অবস্থায় মেয়েদের পাশে বসিয়ে নিজে মুখোশ পরে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত ফুয়াদ। যা অপ্রাপ্ত বয়স্কসহ অনেক লোক প্রত্যক্ষ করত। সে ওই ফ্ল্যাটে পর্নো ভিডিও তৈরি করে মোটা অংকের বিনিময়ে বিক্রয় করত। এভাবে অবৈধ পর্নো জগতে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
জিজ্ঞাসাবাদে ফুয়াদ জানায় ২০১১ সালে কমিশনের বিনিময়ে বাসা ভাড়া করে দেয়ার ব্যবসা শুরু করে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। এছাড়া সে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের গুলশান ও উত্তরায় বিভিন্ন বাসা ভাড়া দিয়ে কমিশন নিতো।
‘২০১৪ সালে সে ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করেছিল। এ সময়ে সে বিভিন্ন পর্নোসাইটে বিচরণ করে এবং সে তার নেশাকে (মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা) পেশায় পরিণত করার চিন্তা-ভাবনা করে এবং দুটি বৈধ ব্যবসার অন্তরালে সে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ২টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে।’
র্যাব-১ অধিনায়ক জানান, ফুয়াদ ৮টি পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতো। সে বিভিন্নভাবে সংগৃহীত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর ওয়েব সাইটে প্রকাশ করত। অবশ্য এসব সাইটে সবার প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এসব সাইটে প্রবেশের জন্য ফুয়াদ টাকার বিনিময়ে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড সরবরাহ করত। সাইটে নির্ধারিত দাম অনুযায়ী মেয়ে পছন্দ করার পর সম্ভাব্য খদ্দেরদের নিজের উত্তরার ফ্ল্যাটে শারীরিক সম্পর্কের ব্যবস্থাও করে দিত।’
‘এ ছাড়া বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে গোপনে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও কিনে নিতো এবং তার সাইটে তা উপস্থাপন করতো। তার এই সাইটগুলো থেকে ভিডিও বিদেশি অনেক পর্নোগ্রাফি সাইটে উচ্চমূল্যে বিক্রি হতো। বিদেশি এমন লক্ষাধিক পর্ণো সাইট থাকলেও বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিক আকারে নিজেকে এই পেশায় নিয়োজিত করে।’
অশ্লীল এই আটটি ওয়েবসাইট বন্ধ করার আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাব-১ অধিনায়ক সারওয়ার।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় র্যাবের অভিযানে রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউন এলাকা থেকে ইন্টারনেটের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ব্যবসার মূলহোতা মো: ফুয়াদ বিন সুলতানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি ও পর্ণোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম ও যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment