নিয়মিত সংবাদের আপডেট পেতে ও ভিডিও নিউজ দেখতে নিচে লাল বাটন টি ক্লিক করুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী নওরিন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনার পর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা নদী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় নদীকে কারাগারে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলামকে বলেন, ‘আমাকে বাইরে নিয়ে চলো। আমি পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবো।’ এরপর আসামি নদীকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন। এদিকে নওরিন জাহান নদীর পক্ষের আইনজীবী সাইফুর রহমান জানান, তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। মামলায় গৃহকর্ত্রী নওরিন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। এ মামলার আরেক আসামি নদীর মা ইসরাত জাহানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ও ডিওএইচএস তেলের ডিপোর মাঝামাঝি রেললাইন সংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কঙ্কালসার ও মৃতপ্রায় গৃহকর্মী আদুরিকে। উদ্ধারের সময় তার শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। মারধর, গরম খুন্তি ও ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত, মাথায় কোপ, খেতে না দেয়া- কিছুই বাদ যায়নি নির্যাতনের তালিকা থেকে। প্রায় দেড় মাস আদুরিকে চিকিৎসা দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আদুরিকে উদ্ধারের তিনদিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় নওরীন জাহান নদী, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ, মাসুদের দুলাভাই চুন্নু মীর ও তাদের আত্মীয় রনিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর ওইদিনই গ্রেপ্তার করা হয় নদীকে। সেই থেকে নদী কারাগারে আছেন। তবে জামিনে রয়েছেন তার মা ইসরাত জাহান।
সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment