তাছাড়া খাওয়া, লেখা ও নিজের পোশাক নিজেই পরিধান করতে পারছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘দ্য ল্যানচেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ জার্নাল’ এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এএফপি, বিবিসি।
সেখানে বলা হয়, ফিলাফেলফিয়া শিশু হাসপাতালের একদল চিকিৎসক জিয়নের অপারেশন করে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে।
চিকিৎসকদের একজন ড. সান্ড্রা আমারাল জানান, শিশুটির দুই হাত একজন দাতা দান করেছিলেন। ওই হাত দুটির সংগঠন প্রক্রিয়া জিয়নের মস্তিষ্ক গ্রহণ করেছিল। এজন্যই হাত দুটি প্রতিস্থাপনে সাফল্য পাওয়া সহজ হয়েছে।
তিনি জানান, জিয়ন আগের মতোই একটি ব্যাট নিয়ে নড়াচড়া করতে পারছে দুই হাত দিয়ে। স্পষ্টভাবে সে তার নামও লিখতে পারছে। তার অনুভূতি দিন দিন আরও সক্রিয় হচ্ছে, যা বিস্ময়কর।
জিয়ন তার মায়ের কাছে শুনেছে, দুই বছর বয়সে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার দুই হাতের কব্জি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছিল। ওই হাসপাতালের হাত প্রতিস্থাপন কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটর ডা. বেনজামিন চ্যাং অপারেশনের মাধ্যমে হাত দুটি প্রতিস্থাপনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
সে জানায়, অপারেশনের পর প্রথম দিকে সে দৈনন্দিন ছোট ছোট কাজও করতে পারত না। কিন্তু এক বছরের মাথায় সে বেসবল খেলতে শুরু করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটির দুই হাত প্রতিস্থাপনে সাফল্যের নজির এই প্রথম। তবে ১৯৯৮ সালে এক বয়স্ক ব্যক্তির হাত প্রতিস্থাপনে সাফল্য এসেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
No comments:
Post a Comment