জিম্বাবুয়ের সামনে ২৭৮ রানের টার্গেট



জিম্বাবুয়ের সামনে প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের জন্য ২৭৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে বিসিবি একাদশ। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে বিসিবি একাদশ। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮১ রান। ইমরুল কায়েস ৫৬ ও এনামুল হক ৫২ রান করেছেন। ৩৮ রান এসেছে শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাট থেকে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামে বিসিবি একাদশ। জিম্বাবুয়ে বোলাররা ভালো বোলিং করছিলেন। সতর্ক ছিলেন ইমরুল ও এনামুল। তাদের ক্রিজে অনেকটা আটকে রাখেন প্রতিপক্ষ বোলাররা। এর মধ্যেই আক্রমণের মনোভাব দেখিয়ে দেন ইমরুল। মাসাকাদজাকে ছক্কা মারেন। ১০ ওভারের পর এনামুলও জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর চড়াও হন। মাসকাদজাকে তিনিও ছক্কা মারেন একটি।

লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার এরপর বিসিবি একাদশের টপ অর্ডার ভেঙ্গে ফেলেন একা হাতে। পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে তিনি শিকার করেন ইমরুল, এনামুল ও লিটন দাসকে। ৬৪ বলে ২টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৫৬ রান করেন ইমরুল। আর এনামুল ৫২ রান করেন ৬১ বলে। চার মারেন ৭টি, ছক্কা ১টি। ২৩ বলে ২৫ রান করেন লিটন।
সাব্বির রহমান ৩ রান করেই বিদায় নেন।

দ্রুত ৪ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। ১০৫ থেকে ১৪৯ রানে তাদের শীর্ষ ৪ উইকেট নাই হয়ে যায়। সেখান থেকে দলের হাল ধরতে জুটি বাধেন মুশফিক ও নাফীস। পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। তারা প্রথমে উইকেটে সেট করেছেন নিজেদের। তারপর গেছেন আক্রমণে। মুশফিক দুই ছক্কায় তার আগ্রাসী চেহারা তুলে ধরেন। স্ট্রেইট ড্রাইভ ও পুলে নাফীস বুঝিয়ে দেন তার মানসিকতা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মিডিয়াম পেসার জংবিকে ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন নাফীস। তার আগে ৩৮ বলে ৩৮ রান করেন চারটি চার ও একটি ছক্কায়।

লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে বাকি সময়টা ব্যাট করে চলেন মুশফিক। ৮৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বিসিবি একাদশ প্রতিপক্ষের সামনে দেয় লড়ার মতো টার্গেট।   

No comments:

Post a Comment